কোন প্রতারক কখনও কারো আত্মীয়/বন্ধু কিংবা আপনজন হইতে পারেনা।
নিউজ ডেস্কঃ ভূঞাপুর আঞ্চলিক কার্যালয়।
পাশের ছবিটি একজন প্রতারক মোঃ রুবেল নামের কাঠমিস্ত্রির। তিনি জিগাতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভূঞাপুর থানাস্থ গোবিন্দাসী বাজারে কোনো একটা ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। আজকের প্রতিবেদন মূলত তাকে নিয়েই
jamuna news 24 এর একজন প্রতিনিধির কাছে বিগত কিছু দিন আগেই একটি অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কাজ শুরু করে দেই এবং ভিকটিমের সাথে কথা বলি।
ভিকটিমের সাথে কথা বলে এই ঘটনার বেশ কিছু তথ্য ও প্রমান jamuna news 24 এর হাতে এসে পৌছায়। এবং আমাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই ঘটনার বেশ কিছু সত্যতা খুজে পাওয়া যায়।
ভিকটিমের সাথে ঘটে যাওয়া মূল ঘটনা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
বিগত ৪/৫ মাস আগে প্রতারক রুবেল এর কাছে আমি, আকাশ মনি কাঠ দিয়ে একটি সেমি বক্স খাট বানাতে দেই। খাট বানাতে দেওয়ার আগে প্রতারক রুবেল আমাকে দুইটি খাটের ছবি দেখায়।
ছবি দেখে আমি ডান পাশের খাটটি অর্ডার কনফার্ম করি এবং তার দেয়া দামের ভিত্তিতেই অর্ডার কনফার্ম করা হয়। আমাকে জানায় ১ মাসের মধ্যেই সে আমাকে খাট ডেলিভারী দিবে।সে আমাকে কিছু টাকা অগ্রিম দেওয়ার জন্য বলে। আমি তার কথা মতো আমার পরিবারের মাধ্যমে তাকে কিছু টাকা অগ্রিম দেই।
এক মাস চলে যাওয়ার পরে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আমার ফোন সে রিসিব করেনা এমনকি আমার পরিবারের কোনো সদস্য ফোন দিলেও ফোন রিসিব করেনা।
অন্য কারো মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে প্রতারক রুবেল নানান ধরনের তাল-বাহানা শুরু করে।
এমন কি আমার পরিবারের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে।
প্রতারকের ফেইসবুক লিংকঃ https://www.facebook.com/share/1BiXnr7csh/
দৈর্ঘ ৪ মাস অনেক তাল-বাহানার পরে প্রতারক রুবেল দোকানে থাকা রেডিমেট থার্ড ক্লাশ মার্কা একটি খাট নেওয়ার জন্য বলে। আপনারা প্রতারক রুবেলের অফার করা খাটের নকশা- কাঠ ও বার্নিশের দিকের খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন এইটা কতোটা থার্ড-ক্লাস।
আমি এই খাট নিতে অস্বীকার করি এবং আমার এডভাঞ্চের টাকা ফেরত চাই।
তখন, প্রতারক রুবেল আমাকে হুমকি দিয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করে।
এই ব্যাপারে দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দোকান মালিক এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এমন কি খাটের জন্য অগ্রিম কোনো টাকা তাকে দেওয়া হয়নি।
Jamuna news 24 এর প্রতিনিধি ভিকটিম কে প্রশ্ন করে আপনি কি প্রতারক রুবেল এর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক সহায়তা নিবেন কি না?
এর উত্তরে ভিকটিম আমাদের কে জানায়ঃ উনি খুব দ্রুতই আইনি সহায়তায় ৪০২ এবং ৪২০ ধারায় একটি প্রতারনা দায়ের করবেন।
অবশেষে, তিনি আমাদের কে জানানঃ এই ধরনের প্রতারক দের মুখোশ উন্মচন করে দেয়া প্রতিটা নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে, পরবর্তী সময়ে অন্য কেউ প্রতারনার স্বীকার না হয়।
No comments